রংপুরের পীরগাছায় কাকলী হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

রংপুরের পীরগাছায় স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দেয়া এবং যৌতুক দাবি করে না পাওয়ায় দুই সন্তানের জননী ইয়াসমিন নাহার কাকলীকে নির্যাতন করে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ এনে, খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার,(২৭ অক্টোবর ২০২৫) উপজেলার তালুককান্দি এলাকায় দুপুরের এ কর্মসূচি হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি খুনি রায়হানের কুশপুত্তলিকা পোড়ায়। তালুককান্দি এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভে নিহতের ছেলেসহ স্বজন ও এলাকাবাসি অংশ নেয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন নিহত কাকলীর বাবা ইলয়াছ খান, কান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সভাপতি সাহেব উদ্দিন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান এলাকাবাসির পক্ষে রাজেক বেগ, আনিসুল ইসলাম ভুট্টু, রুপসা বেগম সহ অন্যান্যরা।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন ১৪ বছর পুর্বে পীরগাছা উপজেলার তালুককান্দি গ্রামের আবু ক্করের ছেলে রায়হানের সাথে ইয়াসমিন নাহার কাকলীর বিয়ে হয়। তাদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী রায়হান বিভিন্ন সময় ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা না দেয়ায় কাকলীকে নির্যাতন করে। আবারো ৫ লাখ টাকা বাবার বাড়ি থেকে চজাপ দেয় কাকলী বেগমকে কিন্তু সে টাকা না দেয়ায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রায়হান ও তার স্বজনরা গৃহবধু কাকলীকে নিষ্ঠুর নির্যাতন করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার বাবা ইলিয়াছ খাঁন বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। কিন্তু এক মাসেরও বেশী সময় অতিবাহিত হওয়ায় পরেও পুলিশ খুনিদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারে নাই। উল্টো পুলিশ বলছে আসামীদের নাকি তারা খুজে পাচ্ছেনা । অথচ আসামীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

বক্তারা পীরগাছা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছে পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে আসামীদের গ্রেফতার করছেনা। তারা আসামীদের পক্ষ নিয়েছে। এ ভাবে দেশে আইনের শাসন কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবেনা বলে তারা অভিযোগ করে। সেই সাথে পুলিশের দায়িত্ব হীন আচরনের নিন্দা জানিয়ে খুনিদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করার দাবি জানানো হয়। মানব বন্ধন ও সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি ও স্বজনরা ঘাতক রায়হানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ওসি রোমেল বড়–য়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *