নরসিংদীর সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম সরকারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) কেন্দ্রীয় বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থি অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম সরকারকে বিএনপি প্রাথমিক সদস্য সহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, কাইয়ুম একজন বালু খেকো। তিনি নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের দিলালপুর মৌজায় বালু মহলের ইজারা নিলেও বরাবরই ইজারার সীমানা পার হয়ে আরও কয়েক কিলোমিটার দূরে আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর ও গৌরিপুরার চর এলাকার মধ্যবর্তী স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে আসছেন। তাছাড়া ইজারার শর্ত অনুযায়ী কাটিং ড্রেজার দিয়ে বালু কাটার কথা থাকলেও তিনি তা না করে প্রতিনিয়ত একাধারে ১৫ থেকে ২০টি চুম্বক ড্রেজার দিয়ে বালু কাটতে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে আলোকবালীর নেকজানপুর ও গৌরিপুরার চর এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে অবৈধ চুম্বক ড্রেজার বসিয়ে মেঘনা নদী থেকে অবাধে উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনে এলাকাবাসীর ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যার ফলে ঘরহারা হয়েছে অনেক মানুষ। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেই তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে নিরীহ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর এলাকাবাসী অভিযোগ দিয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আকরামুল ইসলাম সমির বলেন, আব্দুল কাইয়ুম মেঘনায় অবৈধ বালু ব্যবসা করে শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছে। তিনি এলাকায় আওয়ামী দোসর পূর্ণবাসনে নিয়োজিত রয়েছে। তার কারণে ত্যাগী বিএনপি কর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। তার বিরুদ্ধে রাজ্জাক চেয়ারম্যান হত্যাসহ ৪টি হত্যা মামলা, অবৈধভাবে অন্যের জমি জবরদখল করে মাটি ভরাট করা, অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজির অভিযোগসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। তার বহিষ্কারের খবরে আলোকবালীতে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। তারা বালু খেকো কাইয়ুমের বহিষ্কারের খুশিতে মিষ্টি বিতরণ করেছে।
ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলের নাম ভাঙিয়ে যারা অপকর্ম করবে তাদের দলে ঠাঁই হবে না। কাইয়ুমের এই বহিষ্কার দলের জন্য সুফল বয়ে নিয়ে আসবে। ভবিষ্যতে দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অপকর্ম করার সাহস পাবে না।
নরসিংদী জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মনিরুল হক জাবেদ বলেন, বহিষ্কার আদেশ আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেয়েছি। এব্যাপারে জেলা বিএনপি থেকে আমাকে কোন কিছু জানানো হয়নি।
Leave a Reply