ট্রাম্পের শুল্ক চাপের মধ্যে ভারতকে তেল কেনায় ‘ডিসকাউন্ট’ দিলো রাশিয়া

মবার্গের বরাতে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

 

গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার তেল কেনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধে ইন্ধন জোগানোর জন্য ভারতের শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশে উন্নীত করেছে। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতে নয়াদিল্লি রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের একটি প্রধান আমদানিকারক হয়ে ওঠে।
 

ভারতীয় পণ্যে ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পরও রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি ভারত। এখন, ওয়াশিংটনের বারবার সমালোচনার পর, ভারত মস্কো এবং বেইজিংয়ের আরও কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

এমনকি চীনে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন যে, রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। একইভাবে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথেও দেখা করেছিলেন এবং দুই দেশ প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং অংশীদার হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
 
এদিকে, হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা পিটার নাভারো ভারতের তীব্র সমালোচনা করে বলেছিলেন, পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করার আগে, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এত বেশি তেল কিনত না। এরপর কী হল? এখন, রাশিয়ান পরিশোধকরা ছাড় দেয়, ভারত তা পরিশোধন করে এবং তারপর ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়ার কাছে প্রিমিয়ামে বিক্রি করে। এভাবে রাশিয়ান যুদ্ধযন্ত্রকে জ্বালানি দিচ্ছে ভারত।  
 
এদিকে, হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ভারত রাশিয়া থেকে ছাড়ের দামে তেল আমদানি করার পাশাপাশি দেশটি থেকে আরও এস-৪০০ ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও পাবে।
 
রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি-টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের প্রধান দিমিত্রি শুগায়েভের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি আরেকটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এস-৪০০ সিস্টেমের সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য মস্কো এবং নয়াদিল্লি আলোচনা করছে এবং রাশিয়া ২০২৬ এবং ২০২৭ সালে শেষ দুটি ইউনিট ভারতে সরবরাহ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। 
 
২০১৮ সালে ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে পাঁচটি ইউনিটের জন্য ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার মধ্যে তিনটি সরবরাহ করা হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *