মন বাস্তবতায় শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ও বাংলাদেশের প্রস্তুতি’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ব্যবসায়ীরা জানান, এই স্বল্প সময়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব নয়। এলডিসি উত্তরণে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চান তারা।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি (বিকেএমইএ) মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রেখে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেনি। এলডিসি উত্তরণ হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান আইনে, জিএসপি প্লাস সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। এলডিসি উত্তরণ তিন বছর পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এলডিসি উত্তরণের বিকল্প না দেখলেও জ্বালানি সংকট, মূল্যস্ফীতি, আর মার্কিন শুল্ক বিবেচনায় সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনা করে গ্র্যাজুয়েশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বাতিলের সুযোগ নেই, তবে সময় নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে খোলামেলা আলোচনা জরুরি।’
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে পেরেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তুলনামূলক বিচারে বেশকিছু সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। তাই এলডিসি উত্তরণ হওয়া না হওয়ার বিষয় এখন আর সরকারের হাতে নেই।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি নেয়ার সক্ষমতা থাকতে হবে। ঝুঁকি না নিলে এগিয়ে যাওয়া যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এলডিসি সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এতে ব্যবসা বাণিজ্যে গতি বাড়বে।’
















Leave a Reply