সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের এক টক শোতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, আমরা যখন যুগপৎ আন্দোলন করি, তখন মানুষজন প্রশ্ন করতো, কত এমন আন্দোলন করছি, বারেবারে এত লোক জীবন দিয়ে লাভ তো কিছু হয় না। ভালো কিছু করেন। তখন আমরা চিন্তা করলাম, একটা কিছু করতে হবে, যার থেকে সংস্কারের ধারণাটা আসল। তিনি বলেন, এখন যারা অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন, তারা সংস্কারের পাইওনিওর। পাইওনিওর আমরা ছিলাম। সংস্কার- উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বললেন, বছরের পর বছর ধরে চলবে। আমি বলি— বছরের পর বছর নয়, যুগের পর যুগ, শতকের পর শতক ধরে চলবে। পৃথিবীটা সংস্কার হতে হতেই এগোবে।
মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। এগুলো রিভিল করা ছাড়া কি ভোট করা যাবে? বছরখানিক ধরে যে সরকারটা আছে, তারাও সংস্কারে খুব আন্তরিকভাবেই বলছে। কিন্তু এক বছর পরে রেজাল্ট দেখেন, সংস্কার বলতে কিছুই হলো না। আমি কিন্তু এটা বলছি না সংস্কারের প্রচেষ্টা যা হয়েছে, সবকিছু নেগেটিভ। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, এটার মধ্যে অনেক ডেভেলপমেন্ট আছে। আজকেসহ অনেকগুলো মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। অনেকগুলো বিষয়ে হয়নি। ওই কথা তো ড. ইউনূস আগেই বলেছেন— যেগুলোতে একমত হতে পারব, সেগুলোতে সংস্কার করব। কিন্তু এ রকম নয়, আজকে একমত হয়ে গেছেন, কালকে আইন বানাতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, শুধু রেমিট্যান্স ছাড়া আমাদের পজেটিভ সূচক নেই। আমাদের ইনভেস্টমেন্টও নেই। অতএব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, নির্বাচন হওয়া উচিত।
Leave a Reply