শেষ বলের রোমাঞ্চে জয় ছিনিয়ে নিলো সাকিবের অ্যান্টিগা

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) বার্বাডোস রয়্যালসের বিপক্ষে শেষ বলের রোমাঞ্চে জয় তুলে নিলো সাকিব আল হাসানের অ্যান্টিগা এন্ড বার্বুডা ফ্যালকন্স। তবে ব্যাটে বলে উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি টাইগার অলরাউন্ডার।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বার্বাডোসের বিপক্ষে ১৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষ বলে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় অ্যান্টিগা। দলকে জেতানোর পথে ৫৩ বলে ৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন আদ্রিস গুস।

এদিন জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১২ রানের দরকার ছিল অ্যান্টিগার। হাতে ছিল ৫ উইকেট। ওপেনার গুস ও ইমাদ ওয়াসিম ক্রিজে থাকায় জয়টা সহজই মনে হচ্ছিল। বার্বাডোস পেসার শেরফান রাদারফোর্ট প্রথম দুটি বলই করেন ওয়াইড। ফলে ৬ বলে ১০ দরকার ছিল অ্যান্টিগার। এরপর প্রথম বৈধ বলে ডিপ এক্সট্রা কাভারে ঠেলে ২ রান নেন ইমাদ। পরের বলে আবার ওয়াইড। দ্বিতীয় বৈধ বল লং অফে ঠেলে আরও ২ রান নেন ইমাদ। এরপরের দুই বলে আরও দুটি সিঙ্গেল। পঞ্চম বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন ইমাদ। ফলে অ্যান্টিগার জয় নিয়ে শঙ্কা জাগে। তবে শামার স্পিঙ্গার শেষ বলটি ডিপ মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে ২ রান নিয়ে অ্যান্টিগার জয় নিশ্চিত করেন।

এর আগে রান তাড়ায় নেমে আমির জাঙ্গো ১৪ বলে ২৩ রান করে ফেরেন। কারিমা গোরে আউট হন মাত্র ১ রান করে। কেভিন উইকহাম ২১ বলে ২৬ রান করে ফিরে যান। পাঁচে নেমে ১২ বলে ১৫ রান করে আউট হন সাকিব। এর বাইরে ফাবিয়েন অ্যালেন ৮ রান করে। শেষদিকে ইমাদের ১১ বলে ১৭ রানের ইনিংস অ্যান্টিগার জয়ে দারুণ অবদান রেখেছে। বড় কৃতিত্বটা অবশ্য ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৩ বলে বলে ৮৫ রানে অপরাজিত থাকা ওপেনার গুসের। ২৯ রান খরচায় বার্বাডোসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ড্যানিয়েল স্যামস।
 
এদিন টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্রান্ডন কিং ও কুইন্টন ডি ককের ওপেনিং জুটিতেই ৯১ রান তুলে নেয় বার্বাডোস। ডি কক ২৮ বলে ২৭ রান করে রান আউট হন। অপরপ্রান্তে ফিফটি হাঁকিয়ে রানের দ্যুতি ছড়াতে থাকেন কিং। তিনে নেমে ছোটখাটো ঝড় তোলেন শেরফান রাদারফোর্ড। ১৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ রান করে আউট হন তিনি। এরপর সালমান ইরশাদের জোড়া শিকার হয়ে ফিরে যান রভম্যান পাওয়েল (৩) ও রসি ভ্যান ডার ডুসেন (০)। শেষদিকে ৬ বলে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ক্রিস গ্রিস। অন্যদিকে সেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়তে হয় কিংকে। ৬৫ বলে ৭ ছক্কা ও ৬ চারের মারে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তোলে দল।
 
অ্যান্টিগার সবচেয়ে সফল বোলার সালমান ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচায় ২ উইকেট নেন। সাকিব ৩ ওভার বল করে ৩৩ রান দিলেও কোনো উইকেটের দেখা পাননি।
 
৯ ম্যাচ শেষে ৪ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে অবস্থান করছে সাকিবের অ্যান্টিগা। প্রথম কোয়ালিফায়ার জায়গা করতে না পারলেও তাদের এলিমিনেটর রাউন্ড একপ্রকার নিশ্চিত। তবে সাকিবরা নিজেদের শেষ ম্যাচ হারলে আর বাকি থাকা চার ম্যাচেই বার্বাডোস জিতলে, বাদ পড়বে অ্যান্টিগা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *