এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। গতবারের মতো এবারও পরীক্ষার ফলাফলে মেয়েরা এগিয়ে। দেশের সব শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রী বেশি পাশ করেছে।
অথচ এমন অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে একজন পরীক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। সেই তালিকায় আছে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার চারটি এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার একটি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি।
প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী দাখিল মাদ্রাসা, মুসলিমপুর দাখিল মাদ্রাসা, কুড়ালীপাড়া নাসরুল উলুম সিদ্দীকিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, ডাবরভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
ময়দানদিঘী দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট মুসলিমুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত মাদ্রাসায় আসেনি। তারা শুধু পরীক্ষার সময় আসে পরীক্ষা দিতে। আমি অভিভাবকদের বলছি ছেলে-মেয়েদের ঠিকমতো মাদ্রাসায় পাঠাতে। তারা ফরম ফিলাপও করতে চায় না, আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জোর করে ফরম ফিলাপ করিয়েছি।
ডাবর ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এবারের ব্যাচটা একটু খারাপ ছিল। এজন্য এই অবস্থা।
মুসলিমপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মকবুল হোসেন প্রধান বলেন, ছাত্ররা ঠিকমতো বাড়িতে বই পড়ে না। তারা সবসময় মোবাইল ধরে ব্যস্ত আর সাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি করে। পড়ালেখা ঠিকমতো না করার কারণে সবাই ফেল করেছে।
কুড়ালীপাড়া নাসরুল উলুম সিদ্দীকিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট নুর নবী বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা কোনো রকম মাদ্রাসাটি ধরে আছি। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আসে না। অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে। বিভিন্ন কারণে ফেল করেছে।
বোদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আইবুল ইসলাম বলেন, ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখব, কী কারণে শিক্ষার্থীরা ফেল করল? আমরা এটি উদঘাটন করে উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ সবাইকে বিষয়টি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করব।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগামীতে যাতে এ ধরনের সমস্যা না হয়, এজন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply