ঝিনাইদহের চার আসনেই শক্ত অবস্থানে বিএনপি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে। পরে তিনি সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি হলে ফেব্রুয়ারিতে ভোট হতে পারে বলে মত দেন। এরপর থেকে ভোটকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হতে শুরু করে দলগুলো। সারা দেশের মতো ঝিনাইদহের চার আসনেও মনোনয়নপ্রত্যাশীরা চষে বেড়াচ্ছেন প্রতিটি গ্রাম, পাড়া-মহল্লা, করছেন গণসংযোগ।

স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ জেলার চার সংসদীয় আসনের প্রতিটিতেই বিএনপির একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহের আসনগুলোতে একক প্রার্থী ঘোষণা করে। অন্য দলগুলো এখনো মাঠ গোছাতে পারেনি। নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে কমিটি দিতে পারেনি। তাছাড়া জেলায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতা তেমন একটা চোখে পড়ছে না।

স্থানীয়রা আরো জানান, চার আসনের তিনটিতে বিএনপি প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন। ঝিনাইদহ-২ (সদর-হরিণাকুণ্ড) আসনে বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিল্পোদ্যোক্তা ও বাফুফে সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী (মহুল) আসন্ন নির্বাচনে একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। আর ঝিনাইদহ-৩ আসনে জামায়াত প্রার্থীর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বিএনপি প্রার্থীর। তবে প্রতিটি আসনে পূর্বের চেয়ে জামায়াতের জনসমর্থন বেড়েছে।

স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে ঝিনাইদহে বিএনপি ও জামায়াতের ওপর পরিকল্পিতভাবে হত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন চালানো হয়। এখন আর সেই ভয় নেই। জুলাই বিপ্লবের পর নতুন নির্বাচনের আগে মুক্ত পরিবেশে তাই দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। এসব চিত্র ফুটে উঠেছে জেলার প্রতিটি সংসদীয় আসনেই। ভোটের অঙ্ক মেলাতে সবাই এবার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন নতুন ভোটারদের মন জয়ের দিকে। দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন সবাই। অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তদবির-যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কর্মিবাহিনী শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও হাটবাজারের ব্যস্ততম জায়গাগুলো আগেভাগে দখল করে সাঁটিয়ে দিচ্ছেন ফেস্টুন-ব্যানার ও পোস্টার।

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা)

শৈলকূপা উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্তত তিন নেতা। তারা হলেন বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ও অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, ১৯৯০-এ এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সাবেক ছাত্রনেতা, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও শৈলকূপা উপজেলা বিএনপির সদস্য বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু এবং কেন্দ্রীয় কৃষক দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান আলী বিশ্বাস।

মনোনয়ন প্রত্যাশার প্রতিযোগিতায় ইতোমধ্যেই শীর্ষ দুই নেতা আসাদুজ্জামান ও জয়ন্ত কুমারের সমর্থকরা এ আসনে চরম কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একে অন্যের নির্বাচনি প্রচারে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এক পক্ষ অপর পক্ষের সমাবেশে ককটেল হামলাও করেছে। তাছাড়া এ দুই গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মামলার ঘটনাও ঘটেছে।

সাধারণ ভোটারদের মতে, এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন যিনি পাবেন, তিনিই হবেন আগামী দিনের আইনপ্রণেতা। কারণ, এই আসনটি বিএনপির জন্য রিজার্ভ সিট হিসেবে পরিচিত। বিএনপির হেভিওয়েট মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে যিনি দলীয় টিকিট হাতে পাবেন, তিনিই আগামীতে শৈলকূপাবাসীর কাণ্ডারী হবেন—এটা অনেকটাই নিশ্চিত।

অপরদিকে একক প্রার্থিতা নিয়ে চেষ্টা করছেন। ইসলামি মূল্যবোধের সরকার প্রতিষ্ঠায় এবার তিনি এই আসন থেকে বিজয়ের ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী।

বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু বলেন, ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে পা রাখি। সে থেকেই শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী আমি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তবে আমি শৈলকূপাকে মডেল উপজেলায় রূপান্তর করব।

ওসমান আলী বিশ্বাস বলেন, আমি ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। বরাবরই অবহেলিত শৈলকূপার জন্য কাজ করে আসছি। যে কারণে আমি এ উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে বিএনপির মনোনয়ন চাই।

মতিউর রহমান বলেন, হাসিনার আমলের মতো এবার দিনের ভোট রাতে হবে না। যে কারণে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে সাধারণ ভোটাররা পিছপা হবেন না। জনগণ এবার খুশিমনে জামায়াত প্রার্থীকে ভোট দেবেন বলে আমি আশা করি।

ঝিনাইদহ-২ (সদর-হরিণাকুণ্ডু)

জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে উন্নয়নের রূপকার ছিলেন চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মরহুম মসিউর রহমান। তার মৃত্যুর পর জেলা বিএনপি এখন কিছুটা হলেও দ্বিধাবিভক্ত। ছোট্ট একাংশের নেতৃত্বে রয়েছেন তার বড় ছেলে ড্যাব নেতা ডা. ইব্রাহিম বাবু। মসিউর রহমানের উত্তরসূরি হিসেবে তিনি এবার মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত ঝিনাইদহ-২ আসনে তিনি ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সরকারি কেসি কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা, জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি এমএ মজিদ। ভোটের মাঠে আলোচনার তুঙ্গে থাকা এই নেতা বর্তমানে দিন-রাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এ ছাড়া এই আসন থেকে ভোটযুদ্ধ করতে চান তরুণ ছাত্রনেতা গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রেজা।

ঝিনাইদহ-২ আসনে ২০২৩ সালের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৬ হাজার। বর্তমানে ভোটার সংখ্যা বেড়ে তা ৫ লাখের ওপরে। যে কারণে এত বিপুল পরিমাণ ভোটারের মন জয় করতে এবার প্রার্থীদের রাতের ঘুম হারাম হওয়ার অবস্থা। তবে ঝিনাইদহ-২ আসনে সবদিক দিয়ে এখনো পর্যন্ত বিএনপি এগিয়ে রয়েছে।

অন্যদিকে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আলী আজম মো. আবুবকরের প্রার্থিতা গত ফেব্রুয়ারিতে দলটি নিশ্চিত করে। ভোটের আশায় ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল তিনি চষে বেড়াচ্ছেন।

এমএ মজিদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির করি আসছি। নেতাকর্মী ও জনগণের সঙ্গে আছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। দলের সব নেতাকর্মীকে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। যে কারণে দলের কাছে মনোনয়ন চাই। আমার বিশ্বাস, দল আমাকে বিমুখ করবে না।

রাশেদ খান বলেন, মানুষ পরিবর্তনে বিশ্বাসী। মানুষ আর ফ্যাসিবাদ ফিরে আসুক—এটা চায় না। যে কারণে আমি এই আসন থেকে ভোটযুদ্ধে বিজয়ী হতে তরুণ সমাজ, বিশেষ করে সাধারণ ভোটারের সমর্থন প্রত্যাশা করি।

আলী আজম মো. আবুবকর বলেন, দুর্নীতিকে বিদায় জানিয়ে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমি কাজ করি। সৎলোকের শাসন কায়েমে জনগণ জামায়াত প্রার্থীকে বেছে নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এ কারণে এবারের নির্বাচনে আমি এগিয়ে থাকব ইনশাআল্লাহ।

ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর)

ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলা নিয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসনে এবারের নির্বাচনি দৌড়ে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী মোট ৫ জন। তারা হলেন নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহসম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান মোমিন, জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী মনির খান ও মহেশপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি মেহেদী হাসান রনি।

স্থানীয় বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা থেকে ব্যারিস্টার কাজলকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমিরুজ্জামান খান শিমুল ও ইঞ্জিনিয়ার মোহা মোমিনুর রহমান এর কপাল খুলে যেতে পারে।

অপরদিকে  জামায়াতে ইসলামীরও প্রভাব রয়েছে এ আসনে। একক প্রার্থী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক মতিয়ার রহমান ভোটযুদ্ধের মাধ্যমে নির্বাচনি চমক দেখানোর প্রত্যাশায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এ আসনে বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

ইঞ্জিনিয়ার মোহা: মমিনুর রহমান মোমিন বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের পুরোটা সময় আমি মাঠে ছিলাম। দলীয় সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছি। যে কারণে আমি বিশ্বাস করি, দল জনগণের সেবা করার সুযোগ দেবে আমাকে।

মতিয়ার রহমান বলেন, মানুষের কল্যাণের জন্য আমি কাজ করি। সাধারণ মানুষের হক আদায়ে আমি বদ্ধপরিকর। মানুষ পরিবর্তন চায়। কোনো জুলুমবাজ-দখলবাজকে এমপি হিসেবে জনগণ চায় না। যে কারণে আগামী ভোটযুদ্ধে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে আমিই বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ।

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ)

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কিছু অংশ ও কালীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত ঝিনাইদহ-৪ আসনটি বরাবরই বিএনপির ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত। নির্বাচন ঘিরে এই আসনে বাজছে ডামাডোল। জুলাই বিপ্লবের পর নির্বাচনের প্রার্থিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএনপির একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও ভোটারদের সমর্থনের আশায় প্রার্থীরা নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন।

এ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান বেল্টুর স্ত্রী মুর্শিদা জামান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালীগঞ্জ উপজেলার একাধিক বিএনপি নেতা জানান, এ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ফিরোজ ও হামিদ। সাবেক এমপি বেল্টুর হাতে গড়া ছাত্রনেতা হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে হামিদের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। এসব কারণেই গত ১ জুন বিএনপি একাংশের নেতাকর্মী জামাল ইউনিয়নের তালিয়ান শ্মশানঘাট এলাকায় ইউনুস আলী ও মহব্বত আলী নামে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেন। তবে ওই ঘটনার পর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আমার কোনো অনুসারী বিএনপি কর্মীদের হত্যা করেনি। সামাজিক কোন্দলে বিএনপি কর্মীরা খুন হয়েছেন।

অপরদিকে দলীয় কোন্দল ও বিভেদ ছাড়াই জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আবু তালিব এলাকায় জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ফেব্রুয়ারি থেকেই তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ছুটে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছেন। ফলে এ আসনে তিনি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।

সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, আমি কর্মীবান্ধব মানুষ। দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আছি। দল চাইলে আমি বিএনপির জন্য বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আসব। তাই আগামী নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিদিন সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছি।

হামিদুল ইসলাম হামিদ বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর আমি দল গোছাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। যে কারণে এই আসনে কাণ্ডারী হিসেবে দলের সবুজ সংকেত চাই।

আবু তালিব বলেন, নাগরিক অধিকার পুনরুদ্ধারে আমি কাজ করি। সমাজের জুলুমবাজ-দখলবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাকে নির্বাচিত করবে—এটাই আমার প্রত্যাশা।

সার্বিক বিষয়ে জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা জানান, দেশের জনগণ ১৬ বছর ভোট দিতে পারেনি। স্বৈরাচার হাসিনা দিনের ভোট রাতে করে জনগণকে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র উপহার দিয়েছে। মানুষ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসত হামলা-মামলা। তাই এবারের নির্বাচন উৎসবে বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ থেকে চিরতরে ফ্যাসিজমকে নির্মূল করবে।

জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল আওয়াল জানান, ভবিষ্যতে যেন ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসতে পারে, এজন্য সবাইকে সচেতন হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে। জনগণ ইতোমধ্যেই বুঝতে পেরেছে জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের সঙ্গে জড়িত নয়। এ জায়গা থেকেই জামায়াত আগামী নির্বাচনে চমক সৃষ্টি করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *