প্রযুক্তি মানুষের জন্য আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত। ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করা জায়েজ, যদি তা শরিয়তের সীমার মধ্যে থাকে। এর মধ্যে দাওয়াহ প্রচার, শিক্ষা গ্রহণ, ব্যবসা পরিচালনা ও সামাজিক যোগাযোগ উল্লেখযোগ্য। প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রথম স্তর হলো হালাল উদ্দেশ্য নির্ধারণ। আল্লাহ তায়ালা বলেন: ‘বলো, আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু, সবকিছু বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১৬২)
অনলাইনে সত্য প্রচার ও মিথ্যা প্রতিরোধ করা জরুরি। পবিত্র কোরআনে রয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো।’ (সুরা তাওবা, আয়াত : ১১৯)
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ শুনে, অতঃপর তা প্রচার করে তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’ (সুরা যুমার, আয়াত : ১৮)
গোপনীয়তা রক্ষা করা ও অন্যের তথ্য চুরি না করা ওয়াজিব। কারও ব্যক্তিগত ছবি, চ্যাট বা তথ্য অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা হারাম। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা একে অপরের গোপনীয়তা অনুসন্ধান করো না।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১২)
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুসলিমের জন্য হারাম তার ভাইয়ের সম্পদ ও সম্মান।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৪) ডিজিটাল মাধ্যমে অশ্লীলতা, গীবত ও ফিতনা ছড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল ছবি, ভিডিও বা মন্তব্য পোস্ট করা বড় গুনাহ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা অশ্লীলতা ছড়াতে ভালোবাসে মুমিনদের মধ্যে তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা নূর, আয়াত : ১৯)











Leave a Reply