বিগ বসে শুরুতেই চমকপ্রদ টুইস্ট, কিভাবে বাঁচলেন কাশ্মীরি কন্যা ফারহানা?

ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় মেগা শো বিগ বস। সিজন ১৯-এর শুরুতেই দিল প্রথম বড় চমক। নাটকীয় ঘটনার মোড়ে কাশ্মীরি কন্যা কনটেন্ট ক্রিয়েটর ফারহানা ভাটকে প্রথম প্রতিযোগী হিসেবে গৃহসদস্যরা ‘বাদ’ করলেও, বিগ বসের চমকপ্রদ টুইস্টে শো-তে নিল নতুন মোড়।

শোটির দ্বিতীয় দিনেই প্রথম এলিমিনেশন রাউন্ডে ১৬ জন সদস্যকে জড়ো করা হয়, কার জায়গা সবচেয়ে অযোগ্য তা ঠিক করতে। অভিজ্ঞ অভিনেত্রী কনিকা সদানন্দ ফারহানার ‘অভদ্র মনোভাব’ নিয়ে খোলাখুলি সমালোচনা করেন।

প্লেব্যাক সিঙ্গার অমল মালিক অভিযোগ তোলেন, ফারহানা নেতিবাচক শক্তি ছড়াচ্ছেন এবং নিজেকে অন্যদের থেকে বড় ভাবছেন। তাদের সঙ্গে একমত হন মৃদুল তিওয়ারি ও বাসির আলীও।

এর ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে বিগ বস ঘোষণা করেন— ‘ফারহানা, আপনার বিগ বস যাত্রা এখানেই শেষ।’

ঘোষণা শুনেই আবেগাপ্লুত ফারহানা ঘর থেকে বের হয়ে যান। এ সময় কেবল তানিয়া মিত্তালই তাকে বিদায় জানিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে দিতে সাহায্য করেন।

কিন্তু অন্য সদস্যরা যখন তার বিদায়ের ধাক্কা সামলাচ্ছেন, ঠিক তখনই বিগ বস জানালেন—ফারহানা আসলে কোথাও যাচ্ছেন না।

মূলত শো থেকে বিদায় না দিয়ে ফারহানাকে পাঠানো হয় কম্পাউন্ডের ভেতরেই থাকা একটি গোপন কক্ষে। সেখান থেকে তিনি ২৪ ঘণ্টা সহ-প্রতিযোগীদের কথাবার্তাসহ সবকিছু শুনছেন ও দেখছেন।পাশাপাশি চাইলে খেলার গতিপথেও প্রভাব ফেলতে পারছেন ফারহানা।

বিগ বস বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করেন সদস্যদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ফল হিসেবে—যেটি এখন ফারহানার জন্য নতুন শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

এই কৌশল সরাসরি মিলে যায় চলতি সিজনের থিমের সঙ্গে—

‘ঘরওয়ালো কি সরকার’ (সদস্যদের সরকার)—যেখানে প্রতিযোগীদের হাতে দেওয়া হয়েছে অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা। তবে তারা ইতোমধ্যেই বুঝে গেছেন, বিগ বস–এর ঘরে ক্ষমতা কখনোই পুরোপুরি নিরঙ্কুশ নয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *