নেপালে ছেলের সাথে একই স্কুলে পড়ছেন মা

দলিত সম্প্রদায়ে জন্ম পার্বতী সুনারের। বিয়ে হয়েছিলো মাত্র ১৫ বছর বয়সে। এরপরই লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায় তার। পরে স্বামীর সাথে কাজের খোঁজে পাড়ি জমান ভারতে। ইংরেজি না জানায় ভিনদেশে কথা বলতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন তিনি। বুঝতে পারেন লেখাপড়ার গুরুত্ব। খবর হিন্দুতান টাইমসের।

দুই সন্তানের জননী পার্বতীর লেখাপড়ার আগ্রহ কমেনি কখনই। তাই এই বয়সে পুনরায় স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। ছেলের সাথে ইউনিফর্ম পরে স্কুলে যাচ্ছেন পার্বতী। সংসার সামলে সন্তানদের সাথে প্রতিদিন যান ক্লাসে।

এ বিষয়ে স্কুলগামী মা পার্বতী সুনার বলেন, আমার অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে যায়। পরে স্বামীর সাথে আমি ভারত পাড়ি জমাই। সেখানে সবাই ইংরেজিতে কথা বলতো। তাই ইংরেজি না জানায় আমাকে সমস্যায় পড়তে হতো। এরপরই আমি লেখাপড়ার গুরুত্ব বুঝতে পারি।

দেশে ফিরেই পার্বতী ভর্তি হয়েছেন স্কুলে। পার্বতীর বয়স এখন ২৭। বিয়ের পর যেখানে থেমেছিলেন সেই সপ্তম শ্রেণি থেকেই আবার লেখাপড়া শুরু করেছেন। নিজে শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি সন্তানদেরও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান সংগ্রামী এ নারী। স্কুলের শিক্ষক-সহপাঠীরাও পার্বতীর লেখাপড়ার প্রতি এ আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন।

জিভান জ্যোতি সেকেন্ডারি স্কুলের অধ্যক্ষ ভরত বাসনেত বলেন, পার্বতী ততটা মেধাবী নয়। তবে, শেখার চেষ্টা করে। তার আগ্রহ আছে। তার ছেলে খুবই মেধাবী। সে তার মাকে লেখাপড়ায় সহায়তা করে।

২ কোটি ৯০ লাখ বাসিন্দার নেপালে ৫৭ শতাংশ নারী শিক্ষিত। দেশটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী বৈষম্য-বাল্যবিয়ের শিকার। পার্বতীর প্রতিবেশীরা বলছেন, তার এ উদ্যোগ পিছিয়ে পড়া অন্য নারীদেরও লেখাপড়ায় আগ্রহী করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *