তবে ইংল্যান্ডের এই জয়ে নাটকীয়তার শেষ নেই। কেননা ২২ রানের জয়টা যেভাবে পেল ইংল্যান্ড। জয়টা যখন তাদের হাতছোঁয়া দূরত্বে—তখনই কিনা শেষের দুই ব্যাটারকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললেন রবীন্দ্র জাদেজা। দলীয় ১১২ রানে ৮ উইকেট তুলে নেওয়া ইংল্যান্ডের জয়ের পথে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ান জাদেজা।
৯ম উইকেটে জাসপ্রীত বুমরাহর সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে বেশ কষ্ট দিচ্ছিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার।
রানে বিষয়টা পরিষ্কার না হলেও ১৩২ বল খেলা চাট্টিখানি কথা ছিল না। কেননা যখন এই উইকেটেই একে একে ৮ ব্যাটার ফিরেছেন দ্রুত। জাদেজা-বুমরাহর জুটি ভাঙতে তাই চোট পাওয়া শোয়েব বশিরকে পর্যন্ত বোলিংয়ে আনলেন বেন স্টোকস। প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে চোট পাওয়া দ্বিতীয় ইনিংসে বলই করেননি এই অফ স্পিনার।
জুটি ভাঙতে ব্যর্থ হওয়ায় তাই উপায় না পেয়ে বশিরকে বোলিংয়ে আনলেন স্টোকস। পরে বশির অবশ্য জুটিটা ভাঙতে পারেননি। ভেঙেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক স্টোকসই। বুমরাহকে ৫ রানে আউট করে। তবে জয়ের শেষ কাজটা বশিরই করেছেন।
তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেওয়ার আগে অবশ্য বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে বশিরকেও। অবশ্য শুধু বশির নন, তার অন্য সতীর্থদেরও। কেননা যখন জয় পায় ইংল্যান্ড ততক্ষণে শেষ জুটিতে ৮০ বল খেলেছেন জাদেজা-মোহাম্মদ সিরাজ। জুটি ভাঙার সময় আবার স্বাগতিকেরা পেয়েছে ভাগ্যের ছোঁয়া। বশিরের বলটা দারুণভাবেই ডিফেন্স করেছিলেন সিরাজ। কিন্তু বল মাটিতে পড়ে গড়াতে গড়াতে লেগ স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। বুঝে ওঠার আগেই দেখলেন বেল পড়ল।
বেল পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে ফেটে পড়েন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। দিগ্বিদিক ছুটছে থাকেন বশির-স্টোকসরা। অন্যদিকে হতাশায় নুইয়ে পড়েন সিরাজ। তার বিশ্বাসই হচ্ছিল না এভাবে আউট হবেন তিনি। কয়েক সেকেন্ড ঠাঁয় দাঁড়িয়ে তাই ক্রিজেই বসে পড়লেন তিনি। তাকে সান্ত্বনা দিতে পরে
উল্লাস শেষে একে একে কিছু বললেন ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। অথচ, লর্ডস টেস্টের জয়টা ভারতেরই পাওয়ার কথা ছিল।
লর্ডস টেস্টের লক্ষ্যটা যে মাত্র ১৯৩ রানের ছিল। তবে একেই লড়াকু রান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেন স্টোকস-জফরা আর্চার। দুজনে ৩টি করে উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ের স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিলেন। এতে ১৭০ রানেই অলআউট ভারত। আর দুই ইনিংসে ৭২ ও ৬১* রানের ইনিংস খেলেও হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো জাদেজাকে। এ জয়ে পাঁচ টেস্টের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
Leave a Reply